বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
মোঃ শাহিন সাগর, রাজশাহী ব্যুরোঃ নাটোরে মাছসহ ট্রাক ছিনতাইয়ের ঘটনায় নাটোর বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের অভিযানে ৪ জন আটক হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, দূর্গাপুর উপজেলার সাইকেল মিস্ত্রি মোসলেম উদ্দিনের ছেলে সুদকারবারী শফিকুল ইসলাম, নাটোর নলডাঙা এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে মাসুদ (ট্রাক ডাইভার), দূর্গাপুর উপজেলার বড়দানপুর এলাকার ফারুকের ছেলে রুহান (হেলপার), পবা উপজেলার জাগিরপাড়া এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে নুর ইসলাম।
স্থানীয় জনগন ও থানা পুলিশের কাছথেকে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা বেলাদুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রাকিব (৫৫) শান্ত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ট্রাক ভাড়া করেন (যাহার নম্বর ঢাকা মেট্রো ট- ২০-২৯০০)। ট্রাক মালিক শফিকুল মাছ ব্যবসায়ী রাকিবের পূর্ব পরিচিত ছিলো। সেদিন রাতেই শফিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী নাটোর বড়াইগ্রাম থানার পাটোয়ারী ফিলিং স্টেশন থেকে ১ কিলোমিটার দূরে রাথুরিয়া নামক স্থানে মাছ ভর্তি ট্রাক ছিনতাই করেন। এ সময় হেলপার ও ডাইভারকে মারধর করে তাদেরকে গাছের সঙ্গে বেধে রাখেন শফিকুল ও নুর ইসলাম। ট্রাকেই ছিলো মাছ ব্যবসায়ী রাকিবের এক সহযোগী। তাকে শক্ত করে বেঁধে বেশি মারধর করেন শফিকুল ও নুর ইসলাম । মাসুদকে তেমন মারধর করা হয়নি। শফিকুলের সহযোগী নুর ইসলাম তার ম্যানেজার এবং ডাইভার। ছিনতাইকারীরা সিরাজগঞ্জে গিয়ে মাছ অন্য ট্রাকে বদলি করেন । ছিনতাই হওয়া মাছের আনুমানিক মুল্য ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাইভার মাসুদের সাথে কথা বললে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ মাসুদকে চাপ প্রয়োগ করলে মাসুদ ছিনতাইয়ের ঘটনা সব খুলে বলেন। মাসুদ স্বীকার করেন কিভাবে তার ট্রাক মালিক শফিকুল ছিনতাইয়ের নাটক সাজায়।এদিকে পুলিশ ঘটনার পর থেকে তিনদিন অভিযান পরিচালনা করে পলাতক আসামীদের আটক করেন। আটকের পর তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর আটকদের রিমান্ড আবেদন করেন থানা পুলিশ।
স্থানীয় জনতা ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা বলেন, ট্রাক মালিক শফিকুল এভাবে দীর্ঘদিন মাছ ভর্তি ট্রাক ছিনতাই করে আসছিলো।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক দূর্গাপুরের অনেকেই জানায়, শফিকুল ইসলাম ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম রাজশাহীর বড় সাংবাদিক নেতা। সেই সাংবাদিকের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে তারা এখন অনেক টাকার মালিক। তার পিতা একজন সামান্য সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন। রাতারাতি তাদের কোটিপতি হওয়ার গল্পটাও এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার আরো কেউ জড়িত কিনা তা বের করার জন্য আসামীদের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
Leave a Reply